২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে ২৬ জুন, বাংলা প্রথম পত্র দিয়ে। পবিত্র ঈদুল আযহার ঈদ উৎযাপন কে সাথে করেই প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে এইবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের। কিছুটা উত্তেজনা নিয়ে কাটাবে এবারের ঈদ। পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটিতে যেমন পরিবার ও আত্মীয়দের সঙ্গে সময় কাটাবে, তেমনি এই সময়টাকে সঠিকভাবে কাজে লাগালেই পরীক্ষার প্রস্তুতি আরও সুসংগঠিত হবে। মনে রেখো উচ্চশিক্ষার প্রথম সোপান এই পরীক্ষা তোমার জন্য একটি গুরুত্তপূর্ণ পরীক্ষা।
এই পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার সময় বিশেষ ভূমিকা রাখবে। তাই টেনশন না করে এখনই ভেবে নাও—কীভাবে ভালো জিপিএ অর্জন করা যায়। এই সময়টাই প্রস্তুতির সবচেয়ে কার্যকর সময় হতে পারে।
ঈদ উৎসব অবশ্যই উপভোগ করবে, তবে সেটার পাশাপাশি প্রতিদিন কিছু সময় পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলবে। ঈদের ছুটিকে পুরোপুরি বিনোদনে না হারিয়ে, সময় ভাগ করে রিভিশনের জন্য একটু সময় বরাদ্দ রাখো—এটাই হবে তোমার বুদ্ধিমানের কাজ। কী করবে, কী এড়িয়ে চলবে—তা আগে থেকেই ঠিক করে রাখলে ছুটিটা হবে আরও অর্থবহ।
আত্মবিশ্বাসই সাফল্যের চাবিকাঠি
প্রস্তুতি যত ভালোই হোক না কেন, যদি মন থেকে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলো—তবে তা কাজে আসবে না। এইচএসসি পরীক্ষার সময় দুশ্চিন্তা নয়, প্রয়োজন শান্ত মন ও দৃঢ় আত্মবিশ্বাস।
তুমি যদি নিয়মিত পড়াশোনা করো, ক্লাসে অংশ নিয়েছ এবং নিজে থেকে অধ্যয়ন করেছ—তাহলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। মাঝে কয়েক দিন ঈদের আনন্দে পড়াশোনার সময় কিছুটা কমে গেলেও চিন্তার কিছু নেই। পরিকল্পনা করে পড়লে বাকি সময়েই ঘাটতি পূরণ সম্ভব। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখো—তোমার প্রস্তুতি তোমাকে সফল করবেই।
প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখো
পরীক্ষার জন্য যেসব সরঞ্জাম দরকার (কলম, স্কেল, রাবার, প্রবেশপত্র ইত্যাদি), সেগুলোর একটি তালিকা তৈরি করে ঈদের আগেই কিনে রাখো। এতে ছুটির পর অপ্রস্তুত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।
রিভিশনের জন্য সময় নির্ধারণ করো
ঈদের ছুটির মাঝে প্রতিদিন ২-৩ ঘণ্টা সময় রাখো শুধু রিভিশনের জন্য। বিশেষ করে বাংলা, ইংরেজি এবং আইসিটি বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলো আবার পড়ে ফেলো।
সংক্ষিপ্ত নোট তৈরি করো
ছুটির সময় নানাবাড়ি বা অন্য কোথাও গেলে বইপত্র নিয়ে যাওয়ার সুযোগ নাও থাকতে পারে। তাই একটি ছোট নোটবুক তৈরি করো যেখানে মুখস্থ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংক্ষিপ্ত আকারে লিখে রাখবে।
শারীরিকভাবে সুস্থ থাকো
ঈদের সময় খাওয়া-দাওয়া বেড়ে যায়। তবে মনে রাখবে, এখন বর্ষাকাল। ঠান্ডাজনিত অসুস্থতা সহজেই হতে পারে। তাই অতিরিক্ত ঠান্ডা খাবার এড়িয়ে চলো, পর্যাপ্ত পানি পান করো, এবং বিশ্রাম নাও।
মা-বাবার সহযোগিতা নাও
মা-বাবা যেন বুঝেন, তুমি জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে আছো। তাঁরা যেন সময়মতো ঘুম, স্বাস্থ্যকর খাবার ও মনোযোগ বজায় রাখতে সাহায্য করেন। পরিবারের সমর্থনই হতে পারে তোমার মানসিক শক্তির উৎস।
শেষ কথা
ঈদের আনন্দ, পারিবারিক সময়, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা—সবই থাকবে। কিন্তু সামনে যেহেতু জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, এইচএসসি পরীক্ষা, তাই সময়ের সর্বোচ্চ ব্যবহার করাটা এখন সবচেয়ে জরুরি। ঈদের ছুটিকে কাজে লাগাও চূড়ান্ত প্রস্তুতির জন্য। রিভিশন দাও, প্রয়োজনীয় নোট রাখো, শরীরের যত্ন নাও এবং সবচেয়ে বড় কথা—আত্মবিশ্বাস হারিয়ো না।
স্মরণ রাখো, একটু পরিকল্পনা, একটু চেষ্টা আর মনোযোগ তোমার স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা খুলে দিতে পারে। ICT Mastermind সব সময় তোমার পাশে আছে তোমার সফলতার যাত্রায়। ঈদে আনন্দ করো, আবার সঠিক প্রস্তুতিও নাও—তাহলেই জয় তোমার।
শুভ কামনা রইল আগামী পরীক্ষার জন্য!